কি সেবা কিভাবে পাবেন
পাসপোর্ট সেবা ব্যক্তি পর্যায়ে নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, মুন্সীগঞ্জ নিম্নোক্ত সেবাসমূহ প্রদান করে থাকেঃ-
১. নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট(MRP) ইস্যু ;
২. হাতেলেখা পাসপোর্ট মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে রূপান্তরকরণ;
৩. মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট(MRP)-এর তথ্য সংযোজন/বিয়োজন/সংশোধন এবং মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ;
৪. নতুন ই-পাসপোর্ট ইস্যু:
৫. মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) হতে ই-পাসপোর্ট এ রুপান্তর।
ক) সাধারণ :বাংলাদেশের সকল নাগরিক সাধারণ পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
খ) অফিসিয়াল : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল সরকারি,আধাসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা / কর্মচারী সরকারি আদেশ (GO) এর ভিত্তিতে অফিসিয়াল প্রাপ্তির
জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
সাধারণ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট(MRP)-এর জন্য আবেদনের নিয়মাবলীঃ
১) আবেদনকারীদের স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে এমআরপি (MRP) আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
২) এমআরপি(MRP)আবেদনপত্র অবশ্যই ইংরেজিতে বড় অক্ষর (CAPITAL LETTER’S)-এ পূরণ করতে হবে।
৩) এমআরপি (MRP)আবেদনপত্রের সাথে নিম্নলিখিত প্রমাণিক দলিলাদি অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবেঃ
ক) নতুন এমআরপি(MRP)-এর ক্ষেত্রে দুই(২) কপি ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
খ) প্রতিটি এমআরপি(MRP)আবেদনপত্রের সাথে ০১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের সদ্যতোলা রঙ্গিন ছবি আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়ন করে জমা দিতে হবে।
গ) জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধনের ০২ (দুই)কপি সত্যায়িত ফটোকপি দিতে হবে।
ঘ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পেশাগত সনদ (যেমন:ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ড্রাইভার ইত্যাদি)-এর ০২ (দুই কপি সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।
৪) অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৫বছরের কম) আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর মাতা ও পিতার একটি করে রঙ্গিন ছবি(৩০২৫মি:মি:) আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়ন করতে হবে।
৫) এমআরপি(MRP)আবেদনপত্রের চতুর্থ পাতায় সত্যায়নকারী কর্তৃক প্রত্যায়নের অংশ পূরণ করে দাখিল করতে হবে।
৬) সমর্পনকৃত(সারেন্ডার) পাসপোর্ট প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য সকল নিয়মের সাথে সমর্পনকৃত পাসপোর্টের ১(এক)পৃষ্ঠা থেকে ৯(নয়)পৃষ্ঠা পর্যন্ত সত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
অফিসিয়াল মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট(MRP)-এর জন্য আবেদনের নিয়মাবলীঃ
১) আবেদনকারীদের স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে এমআরপি(MRP) আবেদনপত্র জমা করতে হবে।
২) এমআরপি (MRP) আবেদনপত্র অবশ্যই ইংরেজিতে বড় অক্ষর (CAPITAL LETTER’S)-এ পূরণ করতে হবে।
৩) আবেদনপত্রের সাথে নিম্নলিখিত দলিলাদি অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে:
ক)এক্ষেত্রে সঠিকভাবে পূরণকৃত ১(এক)টি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
খ) আবেদনপত্রের সাথে পাসপোর্ট সাইজের সদ্যতোলা রঙ্গিন ছবি আঠা দিয়ে লাগানোর পর
সত্যায়ন করে জমা দিতে হবে।
গ) জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধনের ১(এক)কপি সত্যায়িত ফটোকপি জমা
দিতে হবে।
ঘ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জি.ও(G.O.) /এন.ও.সি (N.O.C.)-এর মূল কপি দাখিল করতে হবে।
ঙ) সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নির্ভরশীল স্বামী/স্ত্রী অথবা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের ক্ষেত্রে
তার এন.ও.সি (N.O.C.)-এর কপি এবং তার কার্যালয় হতে অফিসিয়াল স্মারকের ১ম
শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্তৃক সুপারিশকৃত ১টি চিঠি জমা দিতে হবে।
চ) পি.আর.এল.(PRL)-এ থাকাকালীন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি-
আদেশের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
ছ) অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পেনশন বইয়ের সত্যায়িত ফটোকপি
জমা দিতে হবে।
৫) আধাসরকারি /স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নির্ভরশীল স্ত্রী ও
সন্তানদের ক্ষেত্রে ০২(দুই) কপি এমআরপির আবেদনপত্র সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।
৬) অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৫বছরের কম) আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর মাতা ও পিতার একটি করে রঙ্গিন ছবি(৩০*২৫মি:মি:))আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়ন করতে হবে।
৭) সমর্পনকৃত (সারেন্ডার) পাসপোর্ট প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য সকল নিয়মের সাথে সমপর্নকৃত পাসপোর্টের ০১(এক)পৃষ্ঠা থেকে ৯(নয়)পৃষ্ঠা পর্যন্ত সত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
যেসকল ব্যাংক-এ পাসপোর্ট ফি প্রদান করা যাবেঃ
১. সোনালী ব্যাংক (মুন্সীঞ্জ শাখা); ২. ব্যাংক এশিয়া (সকল শাখা);
৩. প্রিমিয়ার ব্যাংক (সকল শাখা); ৪. ঢাকা ব্যাংক (সকল শাখা);
৫. ট্রাস্ট ব্যাংক (সকল শাখা); ৬. ওয়ান ব্যাংক (সকল শাখা)
ই- পাসপোর্ট সম্পর্কিত তথ্য।
সেবা প্রদানকারী অফিসের নাম |
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা |
সেবা প্রাপ্তির স্থান |
প্রয়োজনীয় সময় |
||||||||||||||||||||||||
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, মুন্সীগঞ্জ। |
সহকারী পরিচালক |
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, মুন্সীগঞ্জ। |
২.জরুরী ফিসের ক্ষেত্রে ১০ কর্মদিবস। ১.সাধারণ ফিসের ক্ষেত্রে ২১ কর্মদিবস। |
||||||||||||||||||||||||
সেবা প্রদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ |
ই-পাসপোর্ট (১১ জুন, ২০২০ খ্রিঃ হতে চলমান)১.অন লাইনে প্রিন্টকৃত আবেদন ফরম, পাসপোর্ট ফি জমা দানের রশিদ, জাতীয় পরিচয় পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এর কপি, পূর্ববর্তী ইস্যূকৃত পাসপোর্ট ও এর ফটোকপি (যদি থাকে), সরকারি আদেশ (GO)/ ছাড়পত্র (NOC)/ অবসর গ্রহণের প্রমান পত্র। ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীকে স্বশরীরে অফিসে উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। ২. ছবি, ১০ (দশ) আঙ্গুলের ছাপ, ডিজিটাল স্বাক্ষর, আইরিশের ছবি গ্রহণ করে আবেদকারীকে একটি বিতরণ রশিদ পদান করা হয়। ৩.কালো তালিকা যাচাই, পেমেন্ট ভেরিফিকেশন প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনুুকুল পুলিশ প্রতিবেদন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর পাসপোর্ট পার্সোনালাইজেশন করে নির্ধারিত অফিসসমূহে ডাকযোগে পাঠানো হয়। ৪. নির্ধারিত তারিখে (পাসপোর্ট প্রাপ্তির SMS পাওয়া সাপেক্ষে) সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে আবেদনকারী স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। ৫. ১৮ বছরের নি¤œ এবং ৬৫ বছরের উর্দ্ধ বয়সী আবেদনকারীগণ কেবল মাত্র ০৫ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট পাবেন। ৬. ১৮ বছরের উর্দ্ধ বয়সী আবেদনকারীর বাধ্যতামূলক জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। |
||||||||||||||||||||||||||
সেবা প্রাপ্তির শর্তাবলি |
বাংলাদেশের নাগরীক হওয়া, কালো তালিকামুক্ত হওয়া, নির্ধারিত ফিস, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুকুল পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়া এবং সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাশিত ও রাষ্ট্রয়ত্ব সংস্থায় স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারির ক্ষেত্রে যথায়থ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। |
||||||||||||||||||||||||||
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র |
১. প্রিন্টকৃত আবেদন ফরম। ২. জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল ও ফটোকপি। ৩. পূর্ববর্তী ইস্যূকৃত পাসপোর্ট ও এর ফটোকপি (যদি থাকে)। ৪. ১৮ বছরের নিচে হলে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মসনদ। ৫. ০৬ বছরের নিচে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ৩ আর (৩.৫/৫ ইঞ্চি) সাইজের ছবি। ৬. ১৫ বছরের নিচে আবেদনকারীদের পিতা, মাতার ছবি অথবা বৈধ অভিবাবকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি। |
||||||||||||||||||||||||||
ই-পাসপোর্ট আবেদন সম্পাদনের প্রক্রিয়া |
*অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন আবেদন অপশন নির্বাচন করতে হবে। নির্দিষ্ট অপশন নির্বাচনের পর ধারাবাহিক নির্দেশনার আলোকে ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে হবে। *অথবা ই-পাসপোর্ট পিডিএফ আবেদন ফরম ডাউনলোড করার পর কম্পিউটারে সরাসরি পূরণ করতে পারেন। হাতে লেখা কোন ফরম গ্রহণযোগ্য হবে না। কম্পিউটারে পূরণকৃত পিডিএফ ফরম প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ যেমনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র, পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে) *এনরোলমেন্ট সম্পাদনের জন্য পাসপোর্টের সেবা প্রকৃতি অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। অনলাইন আবেদন করার সময় ফি পরিশোধের জন্য অনেক বিকল্প থাকবে (যেমনঃ ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ও অন্যান্য) এছাড়া নির্ধারিত ব্যাংকে ফি পরিশোধের সুযোগ আছে। |
||||||||||||||||||||||||||
যে সকল ব্যক্তিগণ পাসপোর্ট আবেদনপত্র ও ছবি প্রত্যায়ন ও সত্যায়ন করতে পারবেন |
ই-পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে পাসপোর্ট আবেদনপত্র ও ছবি প্রত্যায়ন ও সত্যায়ন করতে হবে না। |
||||||||||||||||||||||||||
ই-পাসপোর্ট ফিস |
সরকারি আদেশে (জিও এর ক্ষেত্রে)ঃ বিনামূল্যে। |
যেসকল ব্যাংক-এ পাসপোর্ট ফি প্রদান করা যাবেঃ
১. সোনালী ব্যাংক (মুন্সীঞ্জ শাখা); ২. ব্যাংক এশিয়া (সকল শাখা);
৩. প্রিমিয়ার ব্যাংক (সকল শাখা); ৪. ঢাকা ব্যাংক (সকল শাখা);
৫. ট্রাস্ট ব্যাংক (সকল শাখা); ৬. ওয়ান ব্যাংক (সকল শাখা)